নিজস্ব প্রতিবেদক : গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা তিন মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন বিষয়ে শুনানি হতে পারে। মির্জা আব্বাসদের পক্ষে শুনানি করবেন সুপিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের সামনের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।তখন নেতা-কর্মীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় তিনটি মামলা করে।